ফরিদ আহমেদ : অসাধারণ একটা ব্যাপার ঘটে গেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। এলিটা কিংসলি বাংলাদেশের জার্সি পরে তাঁর প্রথম ম্যাচ খেলেছেন সিসেলেসের বিপক্ষে। জন্মসূত্রে বাংলাদেশি না হয়েও বাংলাদেশের জার্সি পরে খেলার এটাই প্রথম ঘটনা। কাজেই একে ঐতিহাসিক ঘটনা বললেও কম বলা হবে না। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নির্ধারিত হয় মূলত রক্তের অধিকারের ভিত্তিতে। যে কাউকে জন্মসূত্রে বাংলাদেশি হতে গেলে, তার বাবা কিংবা মা, এদের অন্তত যেকোনো একজনকে বাংলাদেশি হতে হয়। আমেরিকা বা কানাডার মতো দেশগুলোতে মাটির অধিকারের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব নির্ধারতি হয়। যেকোনো বাচ্চা এইসব দেশে জন্মালেই দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যায়। বাচ্চার বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব এখানে গৌণ। বাংলাদেশে কোনো বিদেশি দম্পতির বাচ্চা জন্মালেও সেই বাচ্চা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাবে না। নাগরিকত্বের এই রক্তের অধিকারের বাইরে ন্যাচারালাইজেশন সিস্টেমও বাংলাদেশে আছে। 

তবে, সেটা এতো জটিল যে বিদেশি কাউকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে খুব একটা দেখিনি। খ্রিস্টান অনেক ক্যাথলিক প্রিস্ট বাংলাদেশে দীর্ঘকাল ধরে বসবাস করছেন নানা কারণে। এদের অনেকেই বাংলাদেশকেই নিজের দেশ ভাবেন, তারপরেও নাগরিকত্ব পান না, এমন অনেক ঘটনাই পত্রিকাতে আসে। এই দিক দিয়ে এলিটা ভাগ্যবান। পেশাদার ক্লাব ফুটবল খেলার জন্য নাইজেরিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি। আসার পরে প্রেম এবং পরিণয় হয় বাংলাদেশি এক তরুণীর সঙ্গে। সংসার করছেন তাঁরা, সন্তানও জন্ম দিয়েছেন। বৈবাহিক এই সূত্র ধরেই খুব সম্ভবত বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দিয়ে আরও অনেক দিন মাঠ কাঁপাক এলিটা কিংসলি, বাংলাদেশের ফুটবলকে নিয়ে যাক উন্নতির দিকে, সেই শুভকামনা রইলো। ফেসবুক থেকে